রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

Slider জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে দেয়া চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সুধীজনদের জন্য এটা বিবেচনাপ্রসূত নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের প্রাধিকারভুক্ত যে গাড়ি, সেটাই আমরা শপথ নেয়ার তিন বছর পর পেয়েছি। যে গাড়িগুলো তারা অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন, আমরা জানি না বিলাসবহুল ছাড়া অন্য গাড়ি কোনগুলো।

গত ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৯টি অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে দেয়া ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের চিঠির বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবণে গতকাল নিজ কার্যালয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। কী উদ্দেশ্যে বিশিষ্টজনরা এমন করেছেন তা জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা হয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এগুলোর কোনোটার ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না। এরকম একটা বিষয় উপস্থাপন করা সুধীজনদের জন্য বিবেচনাপ্রসূত নয়। কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন, সেটা তারাই বলতে পারবেন।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরে কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশিষ্টজনরা দুয়েকটা পত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টা যে পত্রিকা ছেপেছিল, সেখানে আমরা রিজয়েন্ডার দিয়েছিলাম। আমরা জানি না, সেটা তাদের নজরে এসেছে কি না। দ্বিতীয়ত, গাড়ি ব্যবহারের বিষয়, আমার মনে হয় না আমাদের সেই প্রয়োজন আছে। কারণ আমাদের প্রাধিকারভুক্ত যে গাড়ি, সেটাই আমরা শপথ নেয়ার তিন বছর পর পেয়েছি। যে গাড়িগুলো তারা অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন, আমরা জানি না বিলাসবহুল ছাড়া অন্য গাড়ি কোনগুলো। আমি তো দেখেছি, সেগুলো ইউএনওরাও ব্যবহার করছেন। বাড়তি গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা আমার নাই, আমার বিশ্বাস অন্যদেরও নাই।

তিনি বলেন, একই সাথে রাষ্ট্রপতির কাছে তারা অভিযোগ উত্থাপন করলেন, আবার আমাদেরকেও অভিযুক্ত করে ফেললেন। শুধু সেটা না, আমাদের কী করণীয় বা আমাদের কী দন্ড সেটাও এক অর্থে তারা দিয়েই দিলেন। সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত বা শিষ্টাচারবর্জিত কি না, সেটা বিবেচনার ভার আপনাদের।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট চেষ্টা করছে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু করণীয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

নির্বাচন কমিশন প্রশ্নের সম্মুখীন হলো কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি মনে করি না। জাতির কাছে আপনাদের মাধ্যমে আমি তুলে ধরেছি যে সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত। যে অভিযোগগুলো বিশিষ্টজনের তুলেছেন, সে বিষয়ে এখন রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটা তার ব্যাপার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মানহানির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে এই কমিশনার কিছু জানাতে রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *