ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নূরুল হক নুরের সমর্থকদের সাথে ছাত্রলীগের হাতাহাতি ও ধাওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এতে সংগঠনের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতারা।
জানা যায়, সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে ভিপি নুরের সমর্থকরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। ওই সময় তাদেরকে জামায়াত-শিবিরকর্মী বলে শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও তার কর্মীরা। পরে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। ওই সময় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের হাত থেকে জাতীয় পতাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে বলে জানা যায়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল মিয়া বলেন, ‘আমরা আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ জন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের বাধা দিয়ে বলে, মাত্র চার থেকে পাঁচজনকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে হবে। আমরা তাদের কথামতো কয়েকজন মিলে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয়ে যাই। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হঠাৎ হামলা করে। এতে আমাদের জেলা কমিটির সভাপতি আশরাফুল হাসানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সাথে কোনো শিবিরকর্মী ছিল না। কয়েকজন মাদরাসাছাত্র ছিল।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের সাথে আমাদের কোনো হাতাহাতি বা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তারা শিবিকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়েছিল। ওই সময় তারা স্মৃতিসৌধে উস্কানিমূলক কথা বলে পরিবেশ নষ্ট করেন। পরে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে বিতাড়িত করে দেয়। তবে আমরা ওই স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘স্মৃতিসৌধের ভেতরে কিছু হয়নি। তবে বাইরে কিছু হয়েছে কিনা সেটি বলতে পারব না।