গাজীপুর: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার বছর ধরে ধর্ষনের ঘটনায় পোষাক শ্রমিকের দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে অহপরণের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম জানায়, আদালতে হাজির শেষে বাসায় ফেরার জন্য আদালত থেকে বের হওয়ার পথে জনৈক ব্যাক্তি তাকে অনুসরণ করে। গাজীপুর রাজবাড়ি থেকে শ্রীপুরের বাস ধরার জন্য চান্দনা চৌরাস্তায় গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে অনুসরণকারী যুবক সহ কয়েক যুবক তাকে ঝাপ্টে ধরে হাতে থাকা কাগজের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পাশে থাকা প্রাইভেট গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। এতে পথচারীরা এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
ভিকটিম জানায়, দুই দিন আগে মূল আসামীর আত্মীয় ও জিডির আসামী রফিকুল ইসলাম ইমুতে ফোন করে তাকে হুমকি দেয়। মামলা না চালানোর জন্য তাকে ধমক দেয়।
প্রসঙ্গত: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদের চালা গ্রামে বসবাসকারী এক পোষাক কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় ১১ নভেম্বর শ্রীপুর থানায় ধর্ষনের মামলা করে ভিকটিম। এই মামলায় পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং মূল আসামী রেখে সহযোগী সকল আসামীদের নাম বাদ দিয়ে এক মাসের মধ্যেই মামলাটির দায়সারা চার্জসিট দেয় পুলিশ। মামলার পর আসামী পক্ষ বাদীকে প্রকাশ্যে হুমকি দিলে বাদী থানায় জিডি করেন। মামলা ও জিডি কোনটিই বাদীর নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এমনকি জিডির তদন্তে পুলিশ ভিকটিম ও জিডির আসামীদের থানায় ডেকে আনলে আসামীরা পুলিশের সামনেই ভিকটিমকে হুমকি দেয়।
ভিকটিমের অভিযোগ, ধর্ষনের শিকার হয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করে থানায় মামলা করি। মামলার পর হুমকি দেয়ায় জিডি করি। জিডির পর থানায় পুলিশের সামনেই আসামীরা আমাকে হুমকি দেয়। এই অবস্থায় আসামী গ্রেফতার না করেই সহযোগী আসামী বাদ দিয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি করে চার্জসিট দেয়। চার্জসিট দেয়ার পর প্রথম আদালতে হাজির দিয়ে ফেরার সময় অপহরণের চেষ্টা হয়। এই অবস্থায় ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে যাতায়াতও হমুকি হয়ে গেলো। ধর্ষণের শিকার এই নারী ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে তার নিরাপত্তা দাবী করেন।