হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মহাপরিচালক নূর হোসাইন কাসেমীর জানাজায় ঢল নেমেছিল সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের। গতকাল সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কাসেমীর জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা পরিচালনা করেন কাসেমীর ছোট ছেলে মুফতি জাবেদ কাসেমী। ঢাকার আশুলিয়া বেড়িবাঁধসংলগ্ন ধউর গ্রামে অবস্থিত সুবহানিয়া মাদ্রাসায় নূর হোসাইন কাসেমীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বলেন, আমার সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল উনার। উনাকে হারিয়ে কত যে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম… (বলেই কিছু সময় চুপ করে থাকেন)। এরপর বলেন, উনি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি কখনো।
হুমকি-ধামকির কাছে কখনো মাথা নত করেননি। আল্লামা কাসেমী দেশের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাতেলের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। কোনো হুমকি-ধমকিতে ভয় করেননি। আমরা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো- ইনশাআল্লাহ।
জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তার বড় ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। তিনি আরো বলেন, জাতি আজ তার এক সু-সন্তানকে হারিয়েছে। তার জন্য দোয়া করবেন। এ ছাড়াও অংশ নেন মুফতি মাওলানা শফিক আহমেদ কাসেমী, বাবুনগরী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা মামুনুল হক, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাগণসহ হাজারো মানুষ। সকালে জাতীয় ঈদগাহে জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও অনুমতি না পাওয়ায় জাতীয় মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা ঘিরে ভোর থেকেই হেফাজতের নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লিরা পল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। জানাজা শুরুর আগেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। মানুষের চাপে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।