‘অটোপাসের’ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার নতুন নিয়ম চূড়ান্ত করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। নতুন নিয়ম অনুসারে ৫০% শ্রেণী মূল্যায়ন ও ৫০% চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়মে ১৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা করতে বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২১শে জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা শেষ করে ২৪শে জানুয়ারির মধ্যে নম্বরপত্র পরীক্ষা কমিটি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে পাঠানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম, নতুন নিয়মে আমাদের অর্ডিন্যান্সে যে ইনকোর্স ৩০ মার্কিং নির্ধারিত আছে তা ঠিক থাকবে। এর বাইরে চূড়ান্ত পরীক্ষার অংশ হিসাবে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর ভাইভার মাধ্যমে ও বাকি ১০ নম্বর এসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। ইনকোর্সের ৩০ নম্বর ও চূড়ান্ত পরীক্ষার ৩০ নম্বরকে মোট করে ১০০ নম্বরে কনভার্ট করা হবে।
এর ফলে ইনকোর্স মার্ক থাকছে ৫০% যার মধ্যে ১৬.৫% উপস্থিতি মার্ক।
চূড়ান্ত পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হবে ৫০% মার্কিং এর উপর যার মধ্যে ৩৩% নাম্বার ভাইভা ও ১৭% নম্বর এসাইনমেন্টের জন্য নির্ধারিত থাকছে।
অধ্যাপক নুরুল আলম জানান, এই পদ্ধতি শুধুমাত্র স্নাতক চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থীদের জন্য। আমরা শুধু বিসিএস না তাদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকাকে আমলে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্নাতক চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার পর মাস্টার্স পর্বের পরীক্ষার কথা ভাবা হবে বলেও জানান অধ্যাপক নুরুল আলম।
এদিকে গত ৫ই ডিসেম্বর অনলাইনে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে শ্রেণি মূল্যায়নের ৩০ নম্বরের বাইরে ২০ নম্বরের ভাইভা ও বাকি ৫০ নম্বর বিগত বর্ষের রেজাল্ট থেকে গড় করে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের ফলাফল ঘোষণার প্রস্তাবনা আসে। এভাবে গড়পাস’ বা অটোপাসের’ সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে জরুরী সিন্ডিকেট ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন নিয়ম অনুমোদন করে। সিন্ডিকেট সভা থেকে প্রকাশিত পরিশিষ্টে পূর্বের সিদ্ধান্তকে অটোপাস সমতূল্য আখ্যা দিয়ে নতুন নিয়ম অনুমোদন দেয়া হয়।
এদিকে ৮ই ডিসেম্বরের জরুরী সিন্ডিকেট সভার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার ৩০ নম্বরকে ৭০ এ মূল্যায়নের যে গুজব সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়েছে তা নাকচ করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস।