কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রফতানিমুখী শিল্পের দুস্থ শ্রমিকরা তিন মাস ৩ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা পাবেন। অনুদানের অর্থ সরাসরি দুস্থ শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।
গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর চুক্তিটি ইইউর প্রতিনিধির কাছে অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিটি বিনিয়ম করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমীন এবং ইইউ’র পক্ষে ছিলেন ডেভলেপমেন্ট কোর্য়াডিনেশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিস জ্যঁ লুইস ভিল্লা।
চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এ সহায়তা দেওয়া হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ চুক্তির আওতায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে মোট ১১ কোটি ৩০ লাখ ইউরো অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে ইইউ দেবে ৯ কোটি ৩০ লাখ ইউরো এবং ফেডারেল জার্মান সরকার দেবে অবশিষ্ট ২কোটি ইউরো। সরকার ইতোমধ্যে নতুন এ সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমটির নীতিমালা জারি করেছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শ্রম অধিদপ্তর, চারটি শিল্প সংগঠনের সহায়তায় এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগী দুস্থ শ্রমিকদের প্রত্যেককে মাসিক ৩ হাজার টাকা হারে সর্বোচ্চ তিন মাস আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। অনুদানের অর্থ সরাসরি দুস্থ শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। সব প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষে চলতি ডিসেম্বর থেকেই অনুদান দেওয়ার কাজ শুরু হবে।