যে কোন উপায়ে দমন করুন, দায়িত্ব আমার’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে আরও গভীর ও উপসংহারহীন করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রিজভী আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, যে কোন উপায়ের পরিণতি কি তাহলে আরও অনেক লাশ খালে-বিলে-নদীতে ভেসে উঠবে? যৌথবাহিনী কর্তৃক চলবে গ্রামের পর গ্রামে খাণ্ডব দাহন, বিরোধী দলের আরও অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যার পর বলা হবে বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী? প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বর্তমান সংকটকে আরো গভীর ও উপসংহারহীন করে তুলবে। তিনি বলেন, পেট্রল বোমা ছুড়ে নিরীহ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা শুধু অমানবিকই নয়, যারা এগুলির সঙ্গে যুক্ত তারা পাশবিক বিবেকের অমানুষ। কিন্তু এই জঘন্য অপকর্মের দায় চাপানো হচ্ছে বিরোধী দলের ওপর। কারণ সরকারী শক্তির নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম। তাদের হুকুমেই গণমাধ্যমে ঢালাও প্রচার চালানো হচ্ছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ, দলের মহাসচিবসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে, প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলা কাঁধে নিয়ে বাড়িছাড়া, প্রায় প্রতিদিন সারাদেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে চলছে যৌথবাহিনীর তাণ্ডব, চলছে ক্রসফায়ারের নামে বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সেই রকম ভয়-আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যে নেতা-কর্মীরা জীবন বাঁচাবে না গাড়িতে আগুন অথবা পেট্রোল বোমা ছুঁড়বে ?