প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ।
ভুটান-বাংলাদেশ পিটিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রোববার (৬ ডিসেম্বর) এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক সুদৃঢ় যোগাযোগ অবকাঠামো সমৃদ্ধির নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে। করোনা পরবর্তী সময়ে টিকে থাকার জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ভুটান চাইলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা বন্দরসহ সৈয়দপুর বিমান বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) ভুটানের সঙ্গে প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগরিমেন্ট (পিটিএ) চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের উপস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লোকনাথ শর্মা এ চুক্তি করেন। এই প্রথম কোনও একটি দেশের সঙ্গে এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি করলো সরকার।
এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। ভুটান থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় পাথর আমদানি করা গেলে বাংলাদেশের দেশের জন্য নির্মাণসামগ্রীর ব্যয় হ্রাস পাবে, যা নির্মাণ খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে। এ ছাড়া স্বল্পমূল্যে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করা সহজ হবে।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ২৬.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রথম দিকে বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে থাকলেও এখন ভুটানের পক্ষে আছে। কারণ, পদ্মা সেতুসহ দেশের বড় বড় প্রকল্পের জন্য ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি করায় দেশটি থেকে আমদানি বেড়েছে।
আগামী জুনের মধ্যে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।