দেশে নভেম্বরে ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। নারী ও কন্যাশিশু মিলিয়ে মোট নির্যাতনের শিকার ৩৫৩ জন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। অক্টোবর মাসে ৪৩৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এরমধ্যে ৪৪ জন গণধর্ষণসহ মোট ২১৬ জন ধর্ষণের শিকার।
মঙ্গলবার পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। যা তারা দেশের জাতীয় ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরী করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে মোট ৩৫৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৯৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার এবং ৭ জন কন্যাশিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ৭ জন শিশুসহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে।
শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৫ জন। এর মধ্যে শিশু ৩ জন। ৬ জন শিশুসহ ৭ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশু এবং এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন, তার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৭ জন। ১১ শিশু অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন কারণে ১২ জন শিশুসহ ৩৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ৯ জনের উপর, এদের মধ্যে ৪ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশুসহ মোট ১১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ৫ জন শিশুসহ আত্মহত্যা করেছে ১৩ জন এবং ১২ জন শিশুসহ ৪৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১৪ টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার ১ জন শিশুসহ ৩ জন।