ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটিকে মেনে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে নতুন কমিটি নিয়ে সভা করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে না প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক। এতে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সই ছাড়া তাঁরা বেতন তুলতে পারছেন না।
গত ২৯ অক্টোবর বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ছয় মাসের জন্য নতুন ম্যানেজিং কমিটি (এডহক) গঠন করে দেয়। কমিটিতে সভাপতি করা হয় বিদ্যালয়ের দাতা মো. মহিদুল ইসলামকে। পদাধিকার বলে সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক, শিক্ষক সদস্য আইরিন সুলতানা ও অভিভাবক সদস্য করা হয়েছে দেলোয়ার হোসেন জোমাদ্দারকে।
জানা যায়, অবিভক্ত বাংলার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা ও বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক তাঁর জন্মস্থান ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার গ্রামে ১৯৪১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাতুরিয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে রয়েছে তাঁর নানা স্মৃতি। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে দীর্ঘ দিন ধরে ছিলেন তানভির রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় কমিটির মেয়দোত্তীর্ণ হয়ে গেলে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নতুন এডহক কমিটি করে দেন। এতে তাকে রাখা হয়নি। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক সাবেক সভাপতি তানভির রহমানের নামই প্রস্তাব করেছিলেন। নিজের পছন্দের লোককে এডহক কমিটির সভাপতি না করায় ক্ষুব্দ হন প্রধান শিক্ষক। তিনি নতুন এডহক কমিটিকে