প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র (৪২)। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে তার দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তখন থেকেই তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন। তার মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সব পরামর্শ অনুসরণ করে চলছেন। উল্লেখ্য, এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সন্তানদের মধ্যে দ্বিতীয়জন হিসেবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। এর আগে গত মাসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তার ছোটভাই ব্যারোন ট্রাম্প (১৪)। তবে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
পিতা ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারণায় বড় ভূমিকা পালন করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। তার পার্টনার ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপিকা কিমবারলি গাইলফোয়লে’রও করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল জুলাইয়ে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওই সময় সংক্রমিত হননি ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। শুক্রবার সকালের দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী অ্যানড্রু গিলিয়ানি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। উল্লেখ্য, অ্যানড্রু গিলিয়ানি হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলিয়ানির ছেলে। অ্যানড্রু গিলিয়ানি টুইটে বলেছেন, তার মধ্যে হাল্কা লক্ষণ দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকালে পরীক্ষায় তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়েছে। সিবিএস নিউজ নিশ্চিত করেছে যে, হোয়াইট হাউজের কমপক্ষে চারজন সহযোগী বা সহকারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ মাসের শুরুতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডো।
উল্লেখ্য, অক্টোবরে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই সময়ে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে সমালোচনা করেন ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। যে পরিমাণ মানুষ মারা যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তার দাবি অতো মানুষ মারা যায়নি। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি যুক্তি দেখান, মিডিয়া এসব খবরকে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট অনুযায়ী, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন কমপক্ষে দুই লাখ ৫৩ হাজার। শুধু শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯২ হাজার মানুষ।