কাশ্মিরে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তের একাধিক স্থানে গোলাবর্ষণে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ জন বেসামরিক নাগরিক ও পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ভয়াবহতম লড়াইয়ের ঘটনা।
ভারতীয় কতৃপক্ষ জানায়, উত্তর কাশ্মিরের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাতিল করার পর পাকিস্তান থেকে হামলা চালানো হয়।
এদিকে পাকিস্তান কতৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করলে পাকিস্তান তার জবাব দিয়েছে।
ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোলাবর্ষণের ফলে দেশটির তিনজন সেনা সদস্য, একজন সীমান্তরক্ষী ও আরো ছয়জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর-সহ চারজন বেসামরিক নাগরিক ও একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই সম্পূর্ন কাশ্মির দাবি করে। আর প্রায়ই সীমান্তে গুলি বিনিময় হয়ে থাকে। তবে শুক্রবারের গুলাগুলি ছিল একেবারেই ভিন্ন। উভয় পক্ষই বেসামরিক এলাকায় গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের সরকারী কর্মকর্তা সৈয়দ শহীদ কাদরী বলেছিলেন, নিহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। এছাড়াও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
ভারত শাসিত কাশ্মিরের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে সকালে থেকে সন্ধ্যা অবধি চলা গোলাগুলিতে নিহতদের মধ্যে ৮ বছরের শিশুও রয়েছে।
ভারত শাসিত কাশ্মিরের উরির বাসিন্দা মুখতার আহমদ বলেছেন, সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর শহরটিতে আতঙ্ক দেখা দেয়।
এবছরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার গুলাগুলিতে ৪০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স