ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে মারা যাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের নানা স্মৃতি আর তাদের সন্তান সাফরান করিমকে (৪) নিয়ে বাবার স্বপ্ন এখন কেমন করে বাস্তবায়ন করবেন তা বলতে বলতেই বার বার ভেঙে পড়ছেন স্ত্রী শারমিন সুলতানা।
পরিবারের পাশাপাশি আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেছেন গাজীপুরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
এদিকে ঘটনার পর রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ ছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমবেদনা-সহর্মিমতা জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী-সন্তানের প্রতি।
সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়েছেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এবং পরিবারটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আনিসুল করিমের স্ত্রী শারমিন সুলতানা জানান, আনিসুল করিম ছিলেন মেধাবি, সৎ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। খুবই পরিশ্রমি ও আন্তরিক ছিল নিজ পেশায়।
একমাত্র সন্তান সাফরানকে নিয়ে আনিসুলের অনেক স্বপ্ন ছিল উল্লেখ করে শারমিন বলেন, ‘নিজে দেশ সেবায় কাজ করেছেন। ছেলেও যাতে দেশের সেবা করতে পারে, সেজন্যে ছেলেকে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার বানানোর স্বপ্ন ছিল শিপনের। ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। এই স্বপ্নটা এখন আমাকে পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে।’
আনিসুলের বড় বোন শামসুন্নাহার জানান, ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবি ছিল তার ভাই। ভালো খেলোয়াড়ও ছিল। সবার সাথে মিলে মিশে থাকতো। সবার বিপদে এগিয়ে আসতো।
আনিসুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজ উদ্দিনও ছিলেন পুলিশের এসআই।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মেধাবি পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র : ইউএনবি