গাজীপুরঃ গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর নয়াপাড়া এলাকায় সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভবন মালিক নুরে আলমের বিরুদ্ধে করোনা সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যালয় দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সাদিকুল ইসলাম সেলিম জানান ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মির্জাপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় নূরে আলমের নির্মানাধিন ভবনের নিচ তলা পাঁচ বছরের জন্য ৪০০০০০/- চার লক্ষ টাকা জামানতে প্রতিমাসে ১৯০০০/- ভাড়া চুক্তিতে সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিশু শ্রেণি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করি।
সৃজনশীল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরো জানান, চলতি জানুয়ারি মাসের পর নিচতলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকোলন না হওয়াতে ভবন মালিক নূরে আলম চাহিদা অনুযায়ী ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ দ্রুত সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে মাসিক সর্বমোট ৩৮০০০/- টাকা ভাড়ায় হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, গত মার্চ মাস থেকে করোনা মহামারির কারনে বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে।
সাদিকুল ইসলাম সেলিম আরো জানান, গত সেপ্টেম্বর আমাকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে ভবনে থাকা আমার সাইনবোর্ডের উপরে জ্ঞানের ভূবণ স্কুল নামে ভবন মালিক নূরে আলম আরো একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। এতে আমার বিদ্যলয়ের দুইশত আশি জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে করে আমার বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে বিশ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি এলাকার গণণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানিয়ে জয়দেবপুর থানায় আমি একটি অভিযোগ করি।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব জাবেদুল ইসলাম উভয়পক্ষকে ডেকে তাদের বক্তব্য শুনে বাড়ির মালিক নূরে আলমকে সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানান, সাদিকুল ইসলাম সেলিম। সেলিম বলেন, ভবন মালিক নূরে আলম ওসির নির্দেশে সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেললেও পনের দিন পর পূণরায় সাইনবোর্ড সাটিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে একই ভবনে দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের কোন সুযোগ নেই বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ভবন মালিক নুরে আলম বলেন, সৃজনশীল স্কুল পরিচালক গত মার্চ থেকে ভবন ভাড়া দিচ্ছেন না। বার বার ভাড়ার জন্য তাগাদা দিলেও তিনি কর্ণপাত না করায় আমি আর্থিকভাবে ক্ষতগ্রস্ত হয়েছি। একই ভবনে করোনা বন্ধকালীন সময়ে একাধিক স্কুলের সাইনবোর্ড কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন