ঢাকা: আজ ০১’নভেম্বর, ২০২০ তারিখে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস/২০২০ উদযাপিত হলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এবারের জাতীয় যুব দিবসের নামকরণ করা হয় “বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুবদিবস/২০২০”। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে “মুজিববর্ষের আহবান, যুব কর্মসংস্থান”। গণভবন ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুবদিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল এম পি এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ্ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির।
স্বাগত বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন যুবদিবসের প্রেক্ষাপট ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন। প্রশিক্ষণ প্রদান ও সহজ শর্তে যুব ঋণের মাধ্যমে বেকার তরুণদের আত্মকর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে চলছে। আত্মকর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন ট্রেডে ৬০লক্ষাধিক যুব’কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২২ (বাইশ) লক্ষাধিক যুব আত্মকর্মী হয়েছেন। এ পর্যন্ত ২ (দুই) হাজার কোটি টাকা যুব ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আত্মকর্মী ক্যাটাগরীতে ১ম স্থান অর্জনকারী সাজিয়া রহমান এবং শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক সাইফুর রহমান তাদের অনুভূতি ও সাফল্যের কাহিনী ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন যে, বর্তমান সরকার যুব বান্ধব সরকার। যুবদের উন্নয়নে এ সরকার সর্বদা সজাগ। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বর্তমান সরকার যুবদের উন্নয়নে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীতে এযাবৎ ৩৭ জেলার ১২৮টি উপজেলার ২ লক্ষ ৩০ হাজার যুবকে প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে ২ লক্ষ ২৮ হাজার জনকে অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে আরো ১০টি জেলার ১০টি উপজেলায় ৮ম পর্বের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার যুবদের তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষিত করার বহুবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ সরকার ক্ষমতায় এসেই যুব কার্যক্রমকে দেশের প্রতিটি উপজেলায় সম্প্রসারিত করেছেন। ইতোমধ্যেই প্রতিটি জেলায় যুবদের জন্য আবাসিক/অনাবাসিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। আগামীতে উপজেলা পর্যায়ে যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। “মুজিববর্ষের আহবান, যুব কর্মসংস্থান” এই প্রতিপাদ্য-কে বুকে ধারণ করে যুব সমাজকে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগের জন্য উদাত্ত আহবান জানান। তিনি প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
“বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুবদিবস/২০২০” উপলক্ষ্যে ২১ জন যুব’কে সফল আত্মকর্মী ক্যাটাগরীতে ৪ জন যুব’কে সংগঠক ক্যাটাগরীতে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কোটায় ১ জন সংগঠকসহ মোট ২৬ জনকে “জাতীয় যুবপুরস্কার/২০২০” প্রদান করা হয়। আত্মকর্মী ক্যাটাগরীতে জাতীয় পর্যায়ে ১ম, ২য়, ৩য়, ক্ষুদ্র নৃ তাত্তিক গোষ্ঠীর ১জন, যুব সংগঠক ক্যাটাগরীতে ১ম, ২য় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কোটায় ১জনসহ মোট ৭ জনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় যুব পুরস্কার/২০২০ প্রদান করা হয়। জাতীয় যুব পুরস্কার/২০২০ এর জন্য মনোনীত অবশিষ্ট ১৯জন যুব-কে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল কর্তৃক জাতীয় যুব পুরস্কার/২০২০ প্রদান করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুবদিবস/২০২০”-এর শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সাথে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। যারা জাতির পিতার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের অগ্রনী সেনা ছিল সেদিনের যুব সমাজ। “বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুবদিবস/২০২০” এর অনুষ্ঠানে তিনি তাদেরকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন। এ অদম্য যুব সমাজ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও স্বাধীনতা ও সার্বভৌম বিরোধী অপশক্তির কাছে হার মানেনি। বরং জাতির প্রতিটি সংকটময় মুহুর্তে তারা অমূল্য অবদান রেখেছেন। আগামী দিনে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর গভীর আস্থা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। কোভিড-১৯ এর সর্বগ্রাসী ভয়াবহতা ও তা প্রতিরোধসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও টেকসই উন্নয়নে অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার বিপুল যুবসমাজের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
তিনি যুবসমাজকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কাজে আত্মনিয়োগের উদাত্ত আহবান জানান। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতির অনুরূপ ১০ম নির্বাচনী ইশতেহারেও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে জাতীয় যুব পুরস্কার/২০২০ প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ
প্রেস রিলিজ