নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লা পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মামলায় প্রায় দুই মাস পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর ওরফে গফুর মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের পর ভয়াবহ ওই ঘটনায় ৩৫ জন দ্বগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তল্লা রেললাইন এলাকায় তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার মো: নাসির উদ্দিন এই মামলায় আবদুল গফুরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত ভার গ্রহণের পর থেকেই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর ওরফে গফুর মেম্বারকে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। এত দিন পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছি। আমাদের তদন্তে তার গাফিলতি ও অবহেলার সুষ্পষ্ট তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই মামলায় আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘটনার কারণ উদঘাটনে আমরা তিতাস, ডিপিডিসি ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের কার কার গাফিলতি আছে সেগুলো খতিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে আমরা এসব সংস্থার এগারোজনকে গ্রেফতার করেছি।
তিনি বলেন, এই মামলায় মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেফতার করেছি। সিআইডির হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের তদন্তে যাদের দোষ প্রমাণ হচ্ছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট ও গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই মসজিদে বিস্ফোরণে অর্ধ শত মুসুল্লি দগ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।