সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ নামের যুবক নিহতের মামলায় এই ফাঁড়ির সাময়িক বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আশেক এলাহাীর ৫দিন ও কনষ্টেবল হারুনের দ্বিতীয় দফায় ৩দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
বুধবার রাতে তাকে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করা হয় জানিয়ে পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো: খালেদ উজ জামান বলেন, বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
১০ অক্টোবর রাতে সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই আশেক আলীর নেতৃত্বেই রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় বলে জানতে পেরেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ফাঁড়িতে আনার পর নির্যাতন চালানো হয় রায়হানের ওপর। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে ১১ অক্টোবর ভোরে তিনি মারা যান। গত ২৫ অক্টোবর পুলিশের সেই সোর্স সাইদুর রহমানকেও ৫৪ ধরায় গ্রেফতার করে পিবিআই।
এর আগে এই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। আট দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার টিটুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হারুনুর রশীদেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
রায়হানের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
সূত্র : ইউএনবি