নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): নবীগঞ্জে বহুল আলোচিত আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন ও সদস্য দুলাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রোববার রাতে থানায় মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এ খবর নিশ্চিত করেন থানার
ওসি মো. আজিজুর রহমান। আসামি গ্রেপ্তারে গতকাল একাধিক অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। রহস্যজনক ওই মামলা নিয়ে তোলপাড় চলছে। মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের মহিবুর রহমানের স্ত্রী মৌসুমী বেগম ৮ই অক্টোবর বিকালে রিকশাযোগে শেরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পারকুল গ্রামের ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া তার গতি রোধ করেন। এ সময় অভিযুক্তরা তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় (সিএনজি) তুলে একটি অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
ঘটনার ৪ দিন পরে স্থানীয় আউশকান্দি বাজারের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে সিএনজি থেকে নামিয়ে চলে যায় তারা। খবর পেয়ে ভিকটিমের স্বামী মুহিবুর রহমান তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ১৮ই অক্টোবর উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন (৫০), পরিষদের সদস্য দুলাল আহমদ (৪০) এবং সেবুল মিয়া (২৮), সহিদুল মিয়া (২৫), জিবু মিয়া (২৭)সহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই মহিলা। শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জকে মামলা এফআইআরভুক্তির নির্দেশ দেন। এব্যাপারে চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, শুনেছি জনৈক মহিলা নারী নির্যাতন মামলা করেছে। আল্লাহ বিচারের মালিক। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ইউপি সদস্য দুলাল আহমদ বলেন, এরকম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওদিকে, স্থানীয় লোকজন মামলার ঘটনাকে রহস্যময় হিসেবে অভিহিত করেন। ওসি আজিজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।