চট্টগ্রাম: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
কোকো’র লাশ দেশে পৌঁছার পর মঙ্গলবার বাদ জোহর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাযাপূর্ব বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
জানাযায় আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে আমীর খসরু বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো’র মৃত্যুতে বেগম খালেদা জিয়া গভীর শোকাহত।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন নিয়ে বিএনপি যখন গভীর সংকটে, তখনই কোকো আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। বেগম খালেদা জিয়া যেন এই শোক বইতে পারে আমরা সেই দোয়া করছি।
এই শোক নিয়ে ঘরে বসে থাকার সময় নেই উল্লেখ করে নগর বিএনপির সভাপতি বলেন, এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চলমান আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
কোকো’র জানাযায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম, নগরীর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক হুইফ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, শামসুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইদ্রিস মিয়া, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুর রহমান শামীম, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো.শাহেদ, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানাযায় অংশ নিয়েছেন।
জোহর নামাজের পর দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে কোকো’র জানাযার কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১টা থেকেই নগরী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জানাযা মাঠে আসতে শুরু করেন।
নামাজ শেষে ১টা ৩৫ মিনিটে মসজিদ থেকে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ ছৌধুরী সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্য নেতাদের নিয়ে মাঠে আসেন।
জানাযায় আগত মুসল্লিদের উদ্দ্যেশ্যে আমীর খসরুর বক্তব্যের পর জানাযা নামাজ শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন নগর ওলামা দলের সভাপতি শহিদুল্লাহ চিশতি।