ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকার: আজ আমি আমার আর একজন অভিভাবককে হারালাম। তিনি আমার প্রফেশনাল অভিভাবক, আমার সিনিয়র ব্যারিস্টার রফিক উল হক স্যার। এর আগে গত বছর হারিয়েছি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু আলহাজ্জ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যারকে। আমাকে নিয়ে ভাববার আর কেউ রইলনা। হ্যাঁ।
আমি বাংলাদেশের দুই জন বিখ্যাত মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। একজনের জীবন যাপন অনেক আভিজাত্যপূর্ণ আরেকজন খুবই সাধারণ, তবে দুজনেই খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন, দুজনেই আমাকে খুবই স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। তবে দুজনের ভালোবাসার ধরনটা ছিল দুরকম, দুজনেই আমার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একজন আমার রাজনৈতিক গুরু, একজন আমার প্রফেশনাল গুরু। একজন স্বপ্ন দেখতেন আমি এমপি মন্ত্রী আরো অনেক কিছু হবো আর একজন ভাবতেন আমি অনেক বড় আইনজীবী হবো তাঁর মতো।
দুজনেই আমাকে এতটাই স্নেহ করতেন যে তাদের স্নেহের কারণে আমি সবার প্রতিহিংসার পাত্রী হয়ে গেলাম, আর শেষ অবধি এখন অবধি কিছুই হতে পারলামনা। তবে তাদের দুজনের আশীর্বাদ আমার সাথে আছে। ইনশাআল্লাহ্ একদিন না একদিন তাদের দুজনের আশাই হয়তো পূর্ণ করতে পারব। কিন্তু তখন তারা কেউ থাকবেননা। হয়ত দজনই জান্নাত থেকে দেখবেন আর মুচকি মুচকি হাসবেন।
তাদের দুজনের অভাব কখনো পুরন হবার নয়। আমি তাদের দুজনকে হারিয়ে পুরোপুরি এতিম হয়ে গেছি, আমার চোখের জল সব শেষ হয়ে গেছে, তবুও আমি ডুকরে ডুকরে কাঁদতে চাই। আমি দুজনের জনই সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন দুজনকেই জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।