ঢাকা: তিনি ব্যারিস্টার রফিক উল হক স্যার। বাংলাদেশের একমাত্র এটর্নি জেনারেল যিনি এটর্নি জেনারেল হিসেবে কোন সম্মানী গ্রহন করেননি। এরশাদ স্যার আমাকে একদিন বললেন “আমি ব্যারিস্টার রফিককে যেদিন এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগের কথা বললাম, তিনি বললেন স্যার আমি রাজি তবে আমি কোন বেতন নেবনা”৷ ব্যারিস্টার রফিক উল হক স্যার প্রাকটিস করে শত শত কোটি টাকা ইনকাম করেছেন, কিন্তু তার বেশিরভাগই তিনি সমাজসেবামুলক কাজে লাগিয়েছেন, আমার জানামতে তিনি তাঁর নিজের পয়সায় কমপক্ষে ১৪ টি হাসপাতাল করেছেন, তিনি আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন সর্বোচ্চ করদাতা।
আচ্ছা বলুনতো, স্যার যে চশমা ও ঘড়ি পড়ে আছেন তার মুল্য কত? একটা উদাহরণ দেই,তাহলেই বুঝতে পারবেন। একদিন স্যারের এক জুনিয়র আইনজীবী স্যারকে ২৭ হাজার টাকা দামের একটা চশমা গিফট্ করলেন। সেই জুনিয়র চলে যাওয়ার পর স্যার তিনদিন ধরে আমাকে বলতে থাকলেন ” বলতো মা, যে দেশের মানুষ খেতে পায়না সে দেশে কি ২৭ হাজার টাকা দামের চশমা পরা মানায়? “। অবশেষে স্যার আমাকে সাথে নিয়ে গিয়ে সেই চশমাটি ফেরত দিয়ে দু হাজার টাকা দামের একটা চশমা নিলেন?
এই হলো আমার সিনিয়র ব্যারিস্টার রফিক উল হক স্যার। আমরা কি তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারলাম?
সূত্র: ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকারের ফেসবুক।