সাংবাদিক আইয়ুব রানার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনলাইন প্রেস ইউনিটির স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ২১ অক্টোবর বিকেল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা। এসময় মিথ্যে মামলায় জেল-জুলুমের শিকার অনলাইন প্রেস ইউনিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও অর্ধসাপ্তাহিক সুবাণীর সম্পাদক আইয়ুব রানা সহ ইউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অনলাইন প্রেস ইউনিটি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় কলামিস্ট মোমিন মেহেদী বলেন, গত ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর কালিয়াকৈর প্রেসক্লাব-এর সভাপতি ও অনলাইন প্রেস ইউনিটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সংবাদযোদ্ধা আইয়ুব রানার বেলায় ঘটেছিলো। বিনা অপরাধে দেশ-মানুষ-মাটির জন্য নিবেদিত সংবাদযোদ্ধাকে একরকম উপযাজক হয়ে গ্রেফতার করে র্যাব-১-এর একটি টিম। কি কারণ ছিলো? জানতে গেলে পাওয়া যায় যে তথ্য, তা হলো- আদিবাসী নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা উসিট ¤্রং এবং তাঁর স্ত্রী রাখাইন রাজ্যের নারী নেত্রী ¤্রারাজা লেইন ওরফে ম্যাম্যা’র সাথে আইয়ুব রানার ফোনে যোগাযোগ ছিলো। তাদের সাথে একজন সংবাদযোদ্ধা হিসেবে আইয়ুব রানার যোগাযোগ থাকাকে কেন রাষ্ট্রদ্রোহ ভাবা হচ্ছে বা কেন নির্মমভাবে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে আইয়ুব রানার মত একজন নিরাপরাধ দেশপ্রেমিককে তা অন্তত আমার বোধগম্য হচ্ছে না। যেখানে তিনি নিরলস স্বাধীনতার পক্ষে থেকে বর্তমান মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক-এর এলাকা কালিয়াকৈর-এর একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান-সংবাদযোদ্ধা হওয়ার পরও কেন নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ আইয়ুব রানাকে দীর্ঘ ৯ মাস জেলের অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে? প্রশ্নটা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে করছি। কেননা, তিনি বর্তমান বাঙালি জাতির অভিভাবক। আর অভিভাবকের কাছে প্রশ্নের পাশাপাশি স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে চাই অনতিবিলম্বে আপনি নিবেদিত সংবাদযোদ্ধা আইয়ুব রানার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়ে এই মামলা থেকে সম্পূর্ণরুপে অব্যহতির ব্যবস্থা করুন।