ঢাকা: ধর্ষণের অপরাধে সালিশ করা কেন ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টে চলমান অন্যান্য মামলা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। তার সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের রিটকারী আইনজীবী শাহিনুজ্জামান শাহিন। এর আগে গত ২০ অক্টোবর ধর্ষণের অপরাধে সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া রিট আবেদনে ধর্ষণের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি, বিচার শুরুর পর থেকে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটানা বিচার চলার বিধান ও আদেশ কার্যকর করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ১০ বছরে সারাদেশের থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে এবং কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিটে সেসব তথ্য জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের মামলা রুদ্ধদার আদালতে বিচার করার বিধান কার্যকর করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে আইন, স্বরাষ্ট্র, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।