ঢাকা: সরকারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বক্তব্য দেয়ার সময় তার ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে এর কোন ব্যবস্থা না হলে ঢাকা মহানগরের সকল জায়গা অবরোধ করা হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যস্থায় ঢাকা অবরোধ করা হবে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জোনায়েদ সাকি, নুরুল হক নুর সবাই কথা বলছে। কারোর কণ্ঠ রোধ করতে পারেননি। আর কণ্ঠ রোধ করতেও পারবেন না। আজ আমরা তিন জন, চার জন কথা বলছি।
সাতদিন পরে সারা বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে কথা বলবো। ওই কণ্ঠ এত জোরে শোনা যাবে যে গণভবনের দেওয়াল ভেঙে পড়ে যাবে।
মান্না বলেন, আমার ওপর যারা হামলা করেছে তাদের ভিডিও আমার কাছে আছে। তৈমুর আলম খন্দকার (খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা) তাদের নামে জিডি করেছেন। সাত দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নেবে? নেবে না। গতকাল নাকি পরশুদিন বাম দল পল্টন মোর অবরোধ করেছিল। সাত দিন, ১৫ দিন পরে ঢাকা মহানগরের সব জায়গায় অবরোধ করবো। এই রকম মনে করবেন না যে এক মাঘে শীত যাবে। এরকম মনে করবেন না যে চুরি করে রক্ষা পাবেন। ১০ বছরে একদিন তো সভা হবে, সেই দিন চলে এসেছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, আমাদের রাম দা’র ভয় দেখাবেন না। জেলের ভয় দেখাবেন না। মামলার ভয় দেখাবেন না। পান্তা ভাতের মধ্যে কাঁচা মরিচ দিয়ে যেভাবে খায়, ওইভাবে হামলা-মামলা এত বছর ধরে খেয়ে এসেছি। আমরা যখন ধরবো তখন কিন্তু পালাবার পথ পাবেন না। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হন এবং অন্তত আটটি গাড়ি ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।