শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের দেশে কেউ না খেয়ে নাই। হ্যাঁ, না খেয়ে নাই কথাটা কিছুটা সত্য। কিন্তু না খেয়ে না থাকলেও যথার্থ পুষ্টি নাই। সেটা আরো খারাপ। না খেয়ে থাকলে আন্দোলন হবে মানুষ ক্ষিপ্ত হবে। কিন্তু মানুষ এখন খেতে পাচ্ছে বলে আন্দোলন করার স্পৃহাটা নেই। এটাই পুঁজিবাদের ধর্ম।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের নিপীড়িত শোষিত মানুষের মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার একমাত্র তরুণদের পক্ষেই সম্ভব, এই জন্য প্রয়োজন গণআন্দোলন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে। এখন আমাদের অবলম্বন তরুণরা। তারাই বাংলার নিপীড়িত মানুষকে মুক্তি দিবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। তাই তরুণরা তোমাদের কাজটি ঠিক মতো করো। চিন্তা করো না। শুধু দেখো তোমাদের পাশে আমরা আছি কিনা। সামনে থাকবে তোমরা পিছনে থাকবো আমরা। তবেই পরিবর্তন আসবে। পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এজন্য মধ্যবর্তী নির্বাচন মানে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এই যে এখন ফাঁসি আইন হচ্ছে। এটি কোনো সমাধান নয়, এটি একটি বুলি মাত্র। এসবের পরিবর্তন করতে হলে তরুণদেরকে জেগে উঠতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধের প্রজন্ম আহ্বায়ক কালাম ফয়েজী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।