নোয়াখালীর পথে লংমার্চ শুরু করেছে বাম সংগঠনগুলো। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। লংমার্চটি রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়।
লংমার্চের আগে শাহবাগে আয়োজিত এক সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, সারা দেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ষণ অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে, যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা জনগণ কোনভাবেই মেনে নেবে না। এর বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে আমাদের এই লংমার্চ।
সিপিবি নারী সেলের সদস্য লুনা নূর বলেন, বিচারহীনতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে, লড়াই-সংগ্রামকে সমন্বিত করতে, দেশবাসীর চেতনা ও অবস্থানকে সমন্বিত করতে আমাদের আহ্বান থাকবে এই লংমার্চে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, সরকার আজকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই করে সমাজ ও রাষ্ট্রে ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না । আজকে মৃত্যুদণ্ড থেকেও যেটি বেশি প্রয়োজন সেটি হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ।
ধর্ষণকাণ্ডের পরে তার যে বক্তব্য, তা নারী নিপীড়কদের প্রশ্রয় দেয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স জানান, লংমার্চ শাহবাগ, গুলিস্তান হয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায়। তারপর সোনারগাঁও; সেখান থেকে কুমিল্লায় পৌঁছাবে বিকালে।
কুমিল্লা শহরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার পর লংমার্চ যাবে ফেনীতে। শনিবার ফেনী শহরে সমাবেশ শেষে দাগনভুঞা, নোয়াখালীর চৌমুহনী হয়ে যাবে বেগমগঞ্জের একলাসপুর। শনিবার বিকালে সেখান থেকে মাইজদী কোর্ট-এ। সেখানে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে লংমার্চ।
লংমার্চে পূর্ব ঘোষিত নয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জনমত গঠন করবেন বলেও জানান প্রিন্স।