অবরোধের আগুনে পুড়ে প্রাণ হারালেন আরও একজন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে মারা গিয়েছেন অগ্নিদগ্ধ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুল মালেক (৫০)।
আবদুল মালেকের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ বাজার এলাকায়। গত বুধবার রাতে দিনাজপুরের কাহারোলের ভাতগাঁও সেতু এলাকায় ট্রাকে ছোড়া পেট্রলবোমায় তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ট্রাকে করে বিশ্ব ইজতেমা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল মালেক। কথা বলার শক্তি ছিল না তাঁর। মুখ, দুই হাত ও বুক আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে তাঁর।
স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে বসে আহাজারি করছিলেন স্ত্রী মমতা বেগম। তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে কীভাবে বাঁচবেন তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আবদুল কাদের খান আবদুল মালেকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।