গাজীপুর: গাজীপুরের জিরানী এলাকায় প্রাইভেটকারে এক বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণের অভিযোগে পিন্টু (৩২) নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে কাশিমপুর থানাধীন জিরানী এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পিন্টু স্থানীয় রেন্ট-কারের চালক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে ভিক্টিম বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কাশিমপুর থানার এসআই একে মানিক জানান, ভিক্টিম ও ধর্ষক পূর্বপরিচিত এবং তারা উভয়ে কালিয়াকৈর এলাকার বাসিন্দা। ভিক্টিম স্থানীয় বিউটি পার্লারে এবং পিন্টু একই এলাকায় রেন্ট-এ কার-এ চাকরি করেন।
বুধবার রাতে ভিক্টম কালিয়াকৈরে তার এক ছেলে ও বান্ধবীকে নিয়ে রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় পিন্টু কার নিয়ে যাওয়ার পথে ভিক্টিমকে তার গাড়িতে তুলে নেয়। পরে চটপটি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখান থেকে চটপটি খেয়ে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর থানার জিরানী এলাকায় পৌঁছালে ভিক্টিমের সঙ্গে থাকা তার ৮ বছরের ছেলে ও অপর তরুণী (১৮) হালিম খাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নামেন এবং হালিমের দোকানে যান।
পরে দোকানে বসে হালিম খাওয়ার এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিন্টু কারে বসে থাকা ভিক্টিমকে পাশেই এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে কারের ভেতরেই ধর্ষণ করে। বিষয়টি ফাঁস করলে ভিক্টিমকে খুন জখমের হুমকি দেয় পিন্টু। পরে সকলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে কালিয়াকৈর নামিয়ে পিন্টু চলে যান।
ঘটনাটি কাশিমপুর থানা এলাকায় ঘটলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্টিম ভুলে আশুলিয়া থানায় মামলা করতে যান। তখন পিন্টু খবর পেয়ে আশুলিয়া থানায় ঘটনাটি মিনিমাইজ করতে যান। এ সময় ভিক্টিম পুলিশকে জানালে তাকে আটক করে কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করে।
কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুব-এ খোদা জানান, ভিক্টিম বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় পিন্টুর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলার দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান ভিক্টিম। শুক্রবার তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।