তিনি বলেন, গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে তখন খালেদা জিয়া ইঞ্জেকশন নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ভেতরে মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, এম কে আনোয়ার বসেছিলেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যতাবোধ দেখাননি। রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার রক্ষা করেননি। এ অপমানের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তানে জাসদ ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটির জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নানক বলেন, দেশবাসী জানতে চায়, গত ২১ দিন ধরে খালেদা জিয়া অবরোধের নামে দেশব্যাপী যে জ্বালাও-পোড়াও চালাচ্ছেন, তার ফল কি?
দেশ যখন শিক্ষায়, যোগাযোগে এগিয়ে যাচ্ছে, খালেদা তখন অবরোধ দিয়ে ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছেন। গত ১ বছরে সরকারের উন্নয়ন ধ্বংস করতে চাচ্ছেন। খালেদা দেশকে রক্তগঙ্গায় ভাসাতে চান।
তিনি বলেন, পুত্রশোকে খালেদা জিয়া ইঞ্জেকশন নিয়ে ঘুমাতে পারেন। কিন্তু বার্ন ইউনিটে দগ্ধ শিশুকে নিয়ে যে মা বসে আছেন, তিনি ঘুমাতে পারেন না। শিশু ইমুর মা ঘুমাতে পারেন না।
নানক বলেন, শেখ হাসিনা একজন মায়ের মন নিয়ে খালেদাকে শান্তনা দিতে গিয়েছিলেন। খালেদার কাছে রাজনীতি বড় হয়ে গেলো। কোনো সৌজন্যতা দেখালেন না তিনি।
জাসদের সহ সভাপতি মীর আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি।