উখিয়া (কক্সবাজার): কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দু’গ্রুপ রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এ এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর কুতুপালং ক্যাম্প-২ থেকে চারশ পরিবারকে ক্যাম্প-৮ ইস্টে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম রাত ৯টায় চারজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় এসব রোহিঙ্গা নিহত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা মুন্নার দুই ভাই মোহাম্মদুল্লাহ এবং গিয়াসুদ্দিন রয়েছে বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা চলছে। ঘটনাস্থলে চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গত ৪ ও ৫ অক্টোবর ৩ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সকালে র্যাব অভিযান চালিয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।
তিনি বলেন,‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আবারো রোহিঙ্গাদের দু’গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে এখনো সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় চারজন নিহত ও বিশজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।