বিয়ের কথা পাকা করতে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ সিটিকর্পোরেশন কর্মচারীর বিরুদ্ধে!

Slider নারী ও শিশু

রাজশাহী: রাজশাহী নগরে বিয়ের কথা পাকা করতে গিয়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত শনিবার তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম তাজমুরাদ ওরফে লিটন। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের অফিস সহকারী–কাম–কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন। তাঁর বাড়ি নগরের তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকায়।
জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার বলে, তাজমুরাদ তাঁর শাখার একজন কর্মচারী। তবে তিনি তাজমুরাদের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না।

এজাহারে বলা হয়েছে, বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে এসে একা পেয়ে তাজমুরাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছেন।

মতিহার থানা পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তাজমুরাদের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার বিকেলে তাজমুরাদ মেয়েটির বোনের বাড়িতে যান। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে একটি কক্ষে কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে তিনি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা খোলার ব্যবস্থা করেন। মেয়েটি বের হয়ে জানান, তাজমুরাদ তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। বিষয়টি মতিহার থানার পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বড় বোন মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আজ সকালে তাজমুরাদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে এসে একা পেয়ে তাজমুরাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছেন। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *