তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালাউদ্দিন হটাও আন্দোলনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই ঢেউ আছড়ে পড়েছিল বিভিন্ন সভা-সেমিনারেও। তবে সব সমালোচনাকে টেক্কা দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বাফুফের মসনদে বসতে যাচ্ছেন তিনি। আগামী চার বছরের জন্য ফুটবলের ব্যাটন থাকছে তার হাতেই।
আগের তিনবারের নির্বাচনে দু’বার সালাউদ্দিনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রথমবার মরহুম মেজর জেনারেল (অব:) আমিন আহমে চৌধুরীকে হারিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার অবশ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হয়েছিলেন। আর গতবার তো সার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম পোটনকে হারিয়েছিলেন। এবারো নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ জিতেই জয়ী হলেন সালাউদ্দিন।
নতুন মেয়াদে বাফুফের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরেক সাবেক ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদী। কাজী সালাউদ্দিনের মতো তিনিও টানা চতুর্থবারের মতো সিনিয়র সহ-সভাপতি হলেন। বহুল প্রতীক্ষিত বাফুফের নির্বাচনে ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি। দু’জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না, ভোট নেনি আরো দুজন।
সভাপতি পদে সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট। অথচ তিনি ছিলেন খাতা-কলমে। কারণ নির্বাচনের আগেই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। মাঠে সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন সাবেক কোচ সফিকুল ইসলাম মানিক। কিন্তু তার প্রাপ্ত ভোট খেলে চোখ কপালে উঠতে পারে। তিনি পেয়েছেন মাত্র এক ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তার নামের পাশে জমা পড়েছে ৯১ ভোট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি ভোট।