মোহাম্মদ আলম : আব্দুল বাসেত খান, মোঃ সোলায়মান হায়দার, আলী আফজাল খান দুলু, জালাল মাহমুদ গাজীপুর আওয়ামী লীগে পরিচিত মুখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যে আওয়ামী লীগের যাত্রা হয়েছিলো তখন তাদের পথচলা শুরু। আওয়ামী লীগের যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের অগ্র সেনানি।
নবগঠিত গাজীপুর মহানগর ওয়ার্ড কমিটিতে এদের প্রত্যেকের অবস্থান পূর্ণমূল্যায়ন করা হয়েছে। সাথে নতুন প্রজন্মের আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক এক ঝাক তরুণকে কমিটিতে নেয়া হয়েছে। মোঃ হারুন অর রশিদ, এডভোকেট জাকির হোসেন, মোঃ নজরুল ইসলাম, কামরুল হাসান দিপু, কাজী কামরুজ্জামান, আজমেরী খান টুটুল এদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা প্রতিশ্রুতিশীল আওয়ামী প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ তত্বাবধানে ঋদ্ধ হচ্ছে এই প্রজন্ম। নবিন-প্রবিনে সমণি¦ত আহ্বায়ক কমিটির যাত্রা শুরু।
৩৯ টি ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে গাজীপুরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে ১৭ বছরের খড়া কেটেছে। একইসাথে কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পুরন হলো। এটা প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র! অনেকে প্রত্যাসা ব্যক্ত করেছেন, যেন দ্রুততার সাথে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। উজ্জিবিত তৃণমূলকে সাথে নিয়ে সভাপতি মোঃ আজমত উল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে রাজনৈতিক ও ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আরও এগিয়ে যাবে।
আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে তৃণমুল নেতৃবৃন্দ যে উচ্ছসিত তা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ঘাটলেই বুঝা যায়। গতকাল বিকেল থেকে ফেইসবুকে তুমুল ভাইরাল বিষয় ছিলো গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির আনন্দঘন চিত্র। সমালোচনা হয়নি তা নয়। তবে তা ছিলো ক্ষিণ কন্ঠ। যে কোন কমিটি নিয়েই এটা হয়।
‘পছন্দের প্রার্থী নিয়ে টানাটানি, ঝুলে আছে গাজীপুর মহানগর ওয়ার্ড কমিটি’ শিরোনামে ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রামবাংলানিউজ.কম অনলাইনসহ একাধিক গণমাধ্যমে কমিটি সংক্রান্ত আমার একটি মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপ হয়। ৫ দিন পর অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর কমিটি ঘোষণা করা হলো।
কমিটি নিয়ে সমালোচনাও বেশ গঠনমূলক বলে আমি মনে করি। সাদেক হোসেন খান তার ফেইসবুক টাইম লাইনে লিখেছেন, ‘ যাদের রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগ তারাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অহেলিত, বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত।’
পদ প্রত্যাসী সাইফুল ইসলাম ওরফে নুরু তার ফেইসবুকে লিখেছেন, শুধু বড় নেতার সাথে ঘুরলেই হয় না, সিন্ডিকেট করতে হয়।’ এটা সত্য একসাথে এবং এক কমিটিতে সবাইকে স্থান দেয়া নেতৃবৃন্দের জন্য দূঢ়হ কাজ। দেশের বৃহত্তম ও প্রবিন দল আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন দল হিসেবে অনেক নেতা বেড়েছে। তাই কমিটিতে পদপ্রার্থীও ছিলো তুলনামূলক বেশী। তবে কমিটি হয়েছে এতেই সবাই আনন্দিত।
আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মহানগর নেতা এই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে, তাদের কোন মতামত নেয়া হয়নি। এমনকি কমিটি গঠনের প্রকৃয়ায় কাগজে কলমে তাদের দায়িত্ব দেয়া হলেও বাস্তবে কাজের সময় তাদের ডাকাও হয়নি। কমিটি ঘোষণার সময় মহানগরের অনেক নেতার অনুপস্থিতি তাদের সেই দাবিকেই সমর্থন করে।
কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতৃবৃন্দ ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠি আনন্দিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদেরকে নির্বাচন করা যে সঠিক সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এর প্রমান করতে হবে।
মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার লেখা কলামে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমার স্বপ্ন।’ বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। গাজীপুরে উন্নয়নের চিত্র এখন দৃশ্যমান। তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছাবে। তাদের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের নাগরিক সেবা নিশ্চিত হতে পারে। এই প্রত্যাসা। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
২১/০৯/২০২০