চট্রগ্রাম: বিপুল জনসমাগমের জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদরাসার গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামীর প্রয়াত আমীর আল্লামা আহমদ শফীকে।
জানাজায় অংশ নেন হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ভক্তসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষ।
স্থানীয় সাংবাদিক সূত্রে বিবিসি জানায়, প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লোকজন দাঁড়িয়ে দুপুরে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেয়।
জানাজা পড়িয়েছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ। জানাজায় হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীও বক্তব্যও দিয়েছেন।
সম্প্রতি হাটহাজারী মাদরাসায় ছাত্র আন্দোলনে যেসব দাবী তুলা হয়েছিল তাতে আহমদ শফীর পদত্যাগ দাবীও ছিল।
মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগে মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন আহমদ শফী।
এর আগে সকালে আহমদ শফীর লাশ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পৌঁছানোর আগেই সেখানকার জানাজায় যোগ দিতে অনুসারীদের ঢল নামে।
অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
অতিমাত্রায় ভিড় তৈরি হওয়ার কারণে হাটহাজারী এলাকায় সড়কপথ বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এলাকাটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের উপরে অবস্থিত হওয়ায় এই সড়কপথে জেলাদুটির মধ্যেকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল ৯টা নাগাদ আহমদ শফীর লাশ হাটহাজারীতে পৌঁছায়।
ছাত্র আন্দোলনের জের ধরে হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালকের পদ ছাড়ার পর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। ঢাকার একটি হাসাপাতালে গতকাল শুক্রবার মৃত্যু হয় তার।
তার ছেলে আনিস মাদানী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণেই জানাজা ও দাফন হবে তার।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বিবিসিকে জানান, আহমদ শফীর অনুসারীতে হাটহাজারী উপজেলা এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ সকালেই চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক হাটহাজারী অংশে যান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ফলে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে বেশ দূর থেকেই হেঁটে মাদরাসার দিকে আসেন।
সকাল ৯টার দিকে পুলিশী প্রহরায় আহমদ শফীর লাশ হাটহাজারী পৌঁছানোর পর প্রথমে নেয়া হয় ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় তার অস্থায়ী বাড়িতে।
সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর লাশ নেয়া হয় হাটহাজারী মাদরাসায় এবং সেখানে তার কার্যালয়ের পাশেই লাশ রাখা হয়।
অসংখ্য শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ তার অনুরাগীরা সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সেসময় ভিড়ের কারণে কয়েকবার মাদরাসার গেইট বন্ধ করে দিতে হয় এবং ভিড়ের চাপে বেশ কয়েকজন আহতও হন। বিবিসি