তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো
লন্ডন: অতি আদরের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর আকষ্মিক মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ভাইকে শেষ দেখা দেখতে শনিবারই মালেশিয়ার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগের পরিকল্পনা করছেন তিনি, এমনটিই জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
সূত্র জানান, শনিবার লন্ডন সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে কোকোর মৃত্যু সংবাদ পান তারেক।
খুবই পাশাপাশি সময়েই ঢাকা ও মালেশিয়া থেকে তারেককে এই মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। অবশ্য তারেকের মালয়েশিয়া যাওয়ার খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান।
লন্ডন সময় সকাল ১১টায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, তারেক রহমান মালয়েশিয়া যাচ্ছেন কিনা, তা তিনি এখনও জানেন না।
তিনি বলেন, আমি রওয়ানা দিয়েছি তার বাসার দিকে। সেখানে গিয়ে জানার চেষ্টা করবো, তার (তারেক) পরিকল্পনার কথা।
মহিদ জানান, কোকোর মৃত্যু সংবাদ আসার পর তারেকের সঙ্গে এখন পর্যন্ত তার কথা হয়নি। তার (তারেক) বাসায় যাচ্ছেন বলে টেলিফোন আনসারিং মেশিনে তিনি মেসেজ রেখেছেন।
একই সময়ে তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম ও তারেকের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারে এখনও কিছু জানেন না বলে জানান।
তিনি বলেন, আমিও রওয়ানা হয়েছি তার (তারেক) বাসার উদ্দেশে।
এদিকে, তারেক মালয়েশিয়া যাচ্ছেন এ তথ্য প্রদানকারী যুক্তরাজ্য বিএনপির ওই সূত্র জানান, ভাই কোকোর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর তারেক শোকে কাতর হয়ে পড়েন। ভাইয়ের সঙ্গের বিভিন্ন স্মৃতি স্মরণ করে ক্ষণে ক্ষণে তারেক ঢুকরে কেঁদে উঠছেন।
সূত্র মতে, প্রথমে এই আকষ্মিক দুঃসংবাদটি পেয়ে কিছুক্ষণ কথাই বলতে পারেননি তারেক। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্ত্রী জোবায়দা রহমান তাকে শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি কোকোর মৃত্যুর কারণ জানতে মালয়েশিয়া কথা বলেন।
শোককাতর তারেককে ঢাকায় মা খালেদা জিয়ার সঙ্গেও প্রথম কথা বলিয়ে দেন জোবায়দা। এরপর কয়েকবারই মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারেক। যেহেতু দেশে যেতে পারবেন না, সেহেতু তারেককে মালেয়শিয়া গিয়েই ভাইকে শেষবারের মতো দেখার পরামর্শ দেন মা খালেদা জিয়া, এমনই জানায় ওই সূত্র।
সূত্রের দাবি, রোববার মালয়েশিয়া পৌঁছে সেখানে অনুষ্ঠিত কোকোর জানাজায় অংশ নেওয়া যায় কিনা সেটিই এখন চেষ্টা করছেন তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা।