শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গ্রাম বাংলা নারী ও শিশু

shishu-dorshonদিনাজপুর:  দিনাজপুরের বিরল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ থানা-পুলিশ এবং ভ্রাম্যমান আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে তুলকালাম কান্ড হয়েছে থানা-পুলিশ এবং ভ্রাম্যমান আদালতে। কিন্তু শেষ পর্যস্ত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি ধামা চাপা দেয়া হয়েছে। ফলে রক্ষা পেয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিরল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তফার বিরুদ্ধে রোববার দুপুরের ওই স্কুলের এক ৫ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। ঘটনার শিকার শিশু শিক্ষার্থী বিরল উপজেলার হঠাৎপাড়া এলাকার এক রিক্সা ভ্যান চালকের মেয়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে ধরে এনে বিরল থানায় সোপর্দ করে। শত শত মানুষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবীতে থানায় সমবেত হয়।

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সন্ধায় অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফাকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট  আব্দল্লাহ্ আল খায়রুম ভিকটিম ও বাদীর কাছে অভিযোগ শুনেন। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে  অভিযোগ স্বীকার না করায় ভ্রাম্যমান আদালত কোন রায় ঘোষণা না করে অধিক তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়মিত মামলা করার জন্য থানা-পুলিশের কাছে প্রেরণ করে। বিরল থানায় গভীর রাত পর্যন্ত এনিয়ে চলে তুলকালাম কান্ড ও দেন দরবার। অবশেষে রক্ষা পায় অভিযুক্ত শিক্ষক।পুলিশ ছেড়ে দেন শিক্ষক মোস্তফাকে।

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম আরো জানিয়েছেন, বাদী লিখিত কোন অভিযোগ না দেয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ৫ লাখ টাকা লেন-দেনের মাধ্যমে স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি ধামা চাপা দেয়া হয়েছে। ফলে রক্ষা পেয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা। এ টাকা বাদী পক্ষ কম পেলেও ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি,কতিপয় পুলিশ এবং কতিপয় সাংবাদিকদের মাঝে এমন অভিযোগ সর্বত্র ভেসে বেড়াচ্ছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা বিরল উপজেকের লার ররিপুর গ্রমের মৃত আমির উদ্দিনে ছেলে। বর্তমানে বসবাস করেন দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকায়। আর ঘটনার শিকার ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিরল উপজেলার একটি আর্ট গ্যালারী ব্যানার-ফ্যান্টুন বহনকারী ভ্যান-রিক্সাচালকের মেয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *