আরাফাত রহমান কোকো
কুয়ালালামপুর : সোমবার ঢাকা নেওয়া হচ্ছে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ। এর আগে রোববার বাদ জহুর তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। দেশে পাঠানোর আগে তার মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় মসজিদ নেগারায়।
কুয়ালালামপুর মালয় ইউনিভার্সিটি সেন্টারে এরই মধ্যে জড়ো হয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
মালয়েশিয়ার বিএনপি একাংশের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও অপরাংশের সদস্যসচিব মোশাররফ হোসেন জানান, রোববার বাদ জহুর মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় মসজিদ নেগারায় জানাযা শেষে কুয়ালালামপুর মালয় ইউনিভার্সিটি সেন্টারে হিমঘরে রাখা হবে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ। সোমবার সকালে তা দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তারা।
শহীদুল্লাহ জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে বাংলাদেশ সময় বেল সাড়ে ১২টার দিকে আরাফাত রহমান কোকোকে দ্রত হাসপাতালে নেওয়া হয়। পথেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ঢাকায় তার মৃত্যুর খবর সাংবাদিকদের জানান।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আরাফাত রহমান কোকোকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ইন্তেকাল করেন তিনি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। তার মরদেহ আনা ও দাফনের বিষয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর জানানো হবে।
২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। তারপর থেকে তিনি বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। স্ত্রী ও ২ মেয়ে তার সঙ্গে বিদেশেই অবস্থান করছিলেন।
আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় তার অনুপস্থিতিতে ২০১১ সালে তার ৬ বছরের সাজাও হয়।