মোঃ ইসমাঈল হোসেন মাস্টার: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মারতা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। সাত বছর বয়সী শাওন মিয়া স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শেণির ছাত্র। শিশু শাওন লেখা পড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরেছেন বেশ কিছুদিন হলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শাওন মারতা বাজারের একটি হোটেলে সিঙ্গারা পুরি বিক্রি করছে। কোভিট সংকটে স্কুল বন্ধ থাকাই এখন সারাদিন কাজ করতে পারছে। স্কুল খোলা থাকলে প্রতিদিন অর্ধবেলা কাজ করতে পারত। হোটেলের সব কাজ সে একাই করে। শাওনের বাবা আব্দুল হালিম প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে সিঙ্গারা পুরি হোটেলে পৌছে দেন। শাওন স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে হাতে গ্লাভস পরে বিক্রয় করছে যা সচারাচর দেখা যায় না। শিশু শাওন জানাই খরচ বাদে প্রতিদিন পাঁচ ছয়শত টাকা লাভ হয়। এতে তাদের সংসারে কোন অভাব নেই। শাওনের বড় ভাই নবম শ্রেণিতে পড়া লেখা করছে। বড় ভাই কিভাবে পুলিশের চাকুরী পাবে এ নিয়েও আছে তার বিষদ পরিকল্পনা। দুই ভাইয়ের এক বোনকে নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই শাওনের কারন বোনটি তার লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী। শাওন তার মাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে কারন মা নিজে বাড়িতে সিঙ্গারা পুরি বানিয়ে দেয়।
স্থানীয় মানুষজন শিশু শাওনের দায়িত্ববোধ, কাজের প্রতি আগ্রহ ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ। বাংলার প্রতিটি ঘরের অন্তত একটি সন্তান যেন শাওনের মত দায়িত্ববান হয় এই কামনা করেন।