ঢাকা: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিমুহূর্তে তারা আতঙ্কে থাকে, কোন দিক দিয়ে যদি জনগণের বিস্ফোরণ হয়ে যায়। ভোটকেন্দ্রে যদি জনগণের একটা ফ্লো তৈরি হয়ে যায়, তাহলে উনারা তো টিকতে পারবেন না। সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের চিরাচারিত ভোট, নির্বাচন, গণতন্ত্র পাল্টে দিয়েছে। এখন তো দিনের ভোট রাত্রে হয়। ভোটাররা তো ভোট কেন্দ্রে যান না। নির্বাচনের দিন সেখানে বিচরণ করে চতুষ্পদী প্রাণী। এগুলোর ঐতিহ্য তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রশক্তি, রাষ্ট্রযন্ত্র পুরোটাই ব্যবহার করা হয় ভোটের বিরুদ্ধে, সিস্টেমটা হয় ভোটের একটা তারিখ থাকে কিন্তু ভোটের দিন ভোটের বিরুদ্ধে পুরোটাই রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকে সরকার যেটা চায় সেটা পরিপূর্ণ করার জন্য।
তিনি বলেন, বিএনপি পাবনা-৪ এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনের অংশ হিসেবে।
আমরা এর মধ্য দিয়ে আমাদের স্পেসকে বাড়ানোর চেষ্টা করব এখানে বাধা দিলে সেই বাধাকে অতিক্রম করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যাতে করে নিয়ে যাওয়া যায় সেই সাহস নিয়ে যিনি আমাদের প্রার্থী হবেন তিনি কাজ করবেন।
বিএনপি নির্বাচনে হারার আগেই হেরে যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা যদি হারার আগেই হেরে যাই তাহলে উনারা কেন রাষ্ট্রক্ষমতাকে কব্জা করে তারা পরাজিত হওয়ার আগেই নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। জনগণ কী রায় দেবেন সেটার অপেক্ষা না করে নিজেদেরকে আগেই বিজয়ী ঘোষণা করেন ওই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে অর্থাৎ দিনের ভোট রাত্রে করে অথবা ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে না আসতে দিয়ে তারা আগেই যেটা সেট করে রাখে যাদের যাদেরকে বিজয়ী করবে তাদের দলের লোককে সেটা করে রাখে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে আওয়ামী লীগ যে নষ্টামি করছেন সেই নষ্টামি গুলোকে নিশ্চিত করার জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এই সমস্ত নোংরা কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যায় বলেই দিনের ভোট রাত্রে করে। এখন তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করলেই তো নিজেরা বিজয়ী হওয়া যায় অবৈধভাবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৪ এ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহীম প্রমুখ।