কামরান হাবিব, রংপুর: দীর্ঘ ৫ মাস পর লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমেগ্রেশন রুটে ভারত, নেপাল ও ভুটানে সীমিত আকারে দেশি ও বিদেশি পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীর যাতায়াত শুক্রবার সকাল হতে শুরু হয়েছে।
প্রথমদিনেই ৩ জন বিদেশী যাত্রী ইমেগ্রেশন রুট দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তবে বাংলাদেশ থেকে কোন যাত্রী ভারতে যায়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে বিদেশিদের চলাচলে ও যাতায়াতে দেশের সকল স্থলবন্দরের ইমেগ্রেশন রুট গুলো খুলে দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন প্রকল্প. শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বিদেশি নাগরিকরা এখন থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে এসব স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে পাটিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই আদেশ জারির পর সকল বন্দরের ইমেগ্রেশন রুটে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্পগুলোর কাজের ধারা অব্যাহত রাখা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়া/কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের তিনটি শর্ত মানা সাপেক্ষে স্থলবন্দর (বেনাপোল, ভোমরা, বাংলাবান্ধা, হিলি, বুড়িমারী, রৌমারি, দর্শনা, নাকুগাঁও, তামাবিল, শেওলা এবং আখাউড়া) বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হল।
বিদেশিদের বাংলাদেশে আগমের জন্য বৈধ ভিসা থাকতে হবে। থাকতে হবে বৈধ নিজ দেশের পাসপোর্ট। ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত পিসিআরভিত্তিক কোভিড নেগেটিভ সনদ (ইংরেজিতে অনুবাদ করা কপিসহ) এন্ট্রি পোর্টের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখাতে হবে বা প্রদান করতে হবে। এন্ট্রি পোর্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরীক্ষায় কোভিড-১৯ উপসর্গমুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত মার্চ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২২ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব স্থলবন্দরের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। প্রায় ৫ মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা রাট্র ব্যবস্থা তুলে নিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশে করোনা সংক্রামণ পরিস্থিতি কিছুটা পূর্বের তুলনায় হ্রাসের পথে রয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমেগ্রেশন রুটের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশে বিদেশেীদের কাজের জন্য আসা নাগরিকদের প্রবেশের কোন চিঠি এখনো পায়নি। যাদের বাংলাদেশে সরকার অনুমতি দিয়েছে তারা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ইমেগ্রেশন দিয়ে প্রবেশে বাঁধা নেই। তবে স্থলবন্দর ও ইমেগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।