মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় গুলি করে কমপক্ষে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যাকারী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের আদালতে। ওই হামলা থেকে বেঁচে থাকা ব্যক্তি ও নিহতদের স্বজনদের উপস্থিতিতে এই শুনানি হচ্ছে। আজ সকাল থেকে শুরু হয়ে চারদিন চলবে এই শুনানি। এতে ব্রেন্টন টেরেন্টকে যাবজ্জীবন জেল দেয়া হতে পারে। গত বছর মার্চে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এই অস্ট্রেলিয়ান সন্ত্রাসী। সেই হত্যাদৃশ্য আবার ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে। তার এলোপাতাড়ি গুলিতে সেদিন মারা যান কমপক্ষে ৫১ জন। আহত হন বহু মুসল্লি।
নিহত হন বাংলাদেশি বেশ কয়েকজন। অল্পের জন্য রক্ষা পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকারা। এই হত্যাকান্ডে টেরেন্ট্রের বিরুদ্ধে ৫১টি হত্যা, ৪০ টি হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ক্রাইস্টচার্চে সে এই হত্যালীলা চালিয়েছিল সেখানেই কোর্টহাউজে শুনানি শুরু হয়েছে। এতে উপস্থিত আছেন ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তারা শুনানিতে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। তবে কোভিড-১৯ এর কড়াকড়ির কারণে মূল কোর্টরুম তুলনামুলক ফাঁকা থাকবে। তবে ক্রাইস্টচার্চে অতিরিক্ত সাতটি কোর্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ও নিহতদের স্বজনদের বসার জন্য।