পুলিশ জানায়, নিহত জিসান হত্যাসহ ৪৪ মামলার আসামি ছিলেন।
জিসান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের মৃত আবু বকরের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে তাকে ২০০৪ সালে তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাইন উদিন হামিম ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।
অপরদিকে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট ছিল লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। রেহাই পায়নি পাশ্ববর্তী জেলার নোয়াখালী বেগমগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার মানুষও।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলাইমান উদ্দিন জিসান। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানা, চন্দ্রগঞ্জ, নোয়াখালীর সুধারাম, বেগমগঞ্জ, চাটখিল থানাসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ৪৪টি মামলা রয়েছে। এ জিসান বাহিনীকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক বার অভিযান চালালে পুলিশের সাথে বহুবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ বহু লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।