থানায় রওয়ানা দিয়েও যে কারণে মামলা না করে ফিরলেন শিপ্রা

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

ঢাকা: পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী কক্সবাজারে গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে চলা অনলাইন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মামলা করতে। কক্সবাজার থানা থেকে বলা হয়েছিল তাকে এই মামলা করার জন্য যেতে হবে রামুতে। বুধবার সকালে সেই রামু থানার উদ্দেশ্যেই বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবার ফিরে আসেন হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে।

শিপ্রার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা নিয়ে দুজন পুলিশের বিরুদ্ধে একটি রিটের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার আদেশ দেয়া হবে, এই তথ্য জানতে পেরে শিপ্রা দেবনাথ সিদ্ধান্ত নেন আদালেতর সিদ্ধান্ত জানার পরেই তিনি মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু। তিনি বলেন, তারা সকালে মামলা করতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের আদেশ আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আসবে জানতে পেরে তারা থানায় না গিয়েই ফিরে যান।
মি. আলম বলেন, আদালত যে আদেশ ও নির্দেশনা দেবে তারা সেটি অনুসরণ করবেন এবং সে অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

“রিটের আদেশে তো একটা নির্দেশনা থাকবে আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগানোর চিন্তা করছি,” তিনি বলেন।

গত ১৬ই অগাস্ট হাইকোর্টের জনস্বার্থে এক রিট করা হয়। রিটে, শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটটি করেছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।

১৯শে অগাস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এর শুনানি হয়। শুনানি শেষে ২০শে অগাস্ট এ সম্পর্কিত পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়। তবে এদিনই শুনানি শেষে আদেশ হবে কিনা সেটি নির্দিষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মি. ভৌমিক।
পুলিশের যে দুই কর্মকর্তার কথা রিটে উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গিয়ে মামলা করতে গিয়েছিলেন শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং তাদের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু।

মি. আলম জানান, তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে গিয়েছিলেন। তবে কক্সবাজার সদর থানা থেকে তার মামলা না নিয়ে তাকে রামু থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়।

শিপ্রার আইনজীবী মি. আলম জানান, নীলিমা রিসোর্ট রামু থানার অধীনে থাকার কারণে মামলাটি সেখানে করার পরামর্শ দেন সদর থানার ওসি।

গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা। তিনি তার আরো তিন সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং অন্য আরেকজনসহ ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন।

এ ঘটনার পর গত ১৪ই অগাস্ট সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান শ্রিপার ব্যক্তিগত কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। একই রকম পোস্ট করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলিও। সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *