যশোর: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সমাজসেবা অধিদফতরের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। আজ রোববার (১৬ আগস্ট) সকালে তারা আহত শিশু, কেন্দ্রের কর্মচারী ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্ত কমিটি মনে করছেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা চাইলে ঠেকানো যেতো বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনাটি।
সমাজসেবা অধিদফতরের তদন্ত প্রধার সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির সাংবাদিকদের জানান, তিনি এবং কমিটির অপর সদস্য উপ পরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এসএম মাহমুদুল্লাহ তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তারা মর্মান্তিক এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, নির্যাতনের শিকার ও কেন্দ্রে কর্মরত ও নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়, অবহেলা আছে কিনা, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটলো এবং পুনরাবৃত্তিরোধে কী কী করা দরকার সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, দুপুর থেকে নির্যাতনের ঘটনা শুরু হয়। কেন্দ্রে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা চাইলে, একটু মানবিক বা তৎপর হলে বর্বরোচিত নির্যাতন কা- ঠেকানো যেতো।তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, তদন্তে অনিয়ম, খাবারের বিষয় ও ভবন সংস্কার বিষয়ে অনিয়মের খোঁজখবরও নেয়া হবে।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অমানুসিক মারপিটে তিন কিশোর নিহত ও আরো ১৫ কিশোর আহতের ঘটনায় গ্রেফতার কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান রোববার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার বিকেলে আদালত ৫ জনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার পরপরই তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তা চলমান রয়েছে।
এদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যের কমিটিও তদন্ত চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব অসিত কুমার সাহা।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ২৮০ বন্দির নিরাপত্তায় ১৫ আনসার সদস্যের সঙ্গে ৮ পুলিশ সদস্য নিযুক্ত ছিল।