কক্সবাজার: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা ৩ জনই পুলিশের দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র্যাব গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকে আজ মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করে। ধৃত তিনজনের ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করে র্যাব।
আদালত র্যাবের আবেদন আমলে নিয়ে তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন। একই আদেশে রিমাণ্ডের আবেদন শুনানীর জন্য কাল দিন ধার্য্য করেন।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ভোররাতে সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ স্বাক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আটককৃতরা হলো টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড মারিশবনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, আয়াস উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব ১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান।
উল্লেখ্য, গত ৩১শে জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেব নাথকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ৫ই আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ই আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্নসমর্পণ করেন।