তিস্তা ব্যারাজে দর্শনার্থীদের ভীড়, সজাগ পুলিশ প্রশাসন

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি
Exif_JPEG_420

হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ করোনাভাইরাস প্রকোপে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস ঘরে বন্দী জীবন কাটাতে গিয়ে হাপিয়ে গেছে সারা পৃথিবীর মানুষ। লকডাউনের মধ্যেই ঈদুল ফিতর পার হলেও ঈদুল আজহার ছুটিতে বাধ মানছে না কারো মন।

উত্তরবঙ্গের বিনোদনপ্রেমীরা তাই বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এবার বেঁচে নিয়েছেন দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজে।

করোনার কারণে দর্শনীয় স্থানের বদলে তিস্তা নদীর তীর প্রকৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠেছে এ তিস্তা ব্যারাজে।

রোববার (২ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যারেজ এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নামছে। শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে তিস্তা পাড়।

দীর্ঘদিন বন্ধ ঘরে থেকে ঈদের ছুটিতে মুক্ত বাতাস পেতে ব্যারেজ এলাকায় ছুটে আসছেন পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা শহরের মানুষ। বিনোদন প্রেমীদের সাময়িক চাহিদা পুরনে তিস্তা ব্যারেজ জুড়ে বসেছে অস্থায়ি বেশ কিছু খাবারের দোকান।

নানা রকম পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। বিভিন্ন খেলনা, বাঁশি, বেলুন, মাটির গাড়ি, খাবারের দোকান রয়েছে এখানে। এ ছাড়া নদীর বুকে ভাসমান বিলুপ্ত আশির দশকের বেশ কয়েকটি নৌকা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।

সেইসাথে তীব্র গতিতে ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের নিয়ে ছুটে চলছে কয়েকটি স্পিডবোট ও মেশিন চালিত নৌকা। নৌকা বা স্পিডবোডে উঠতে প্রতিজন মানুষের ভাড়া লাগছে মাত্র ৩০ টাকা।

তিস্তা ব্যারাজে ঘুরতে আসা আব্দুর রহিম, শফিকুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন মুস্তাফিজুর রহমান সহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়, অনেকদিন বাড়িতে থাকতে থাকতে বোরিং ফিল করছিলাম। আজ বন্ধুদের সাথে দীর্ঘক্ষণ তিস্তা ব্যারাজে ঘুরলাম, অনেক আনন্দ করছি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওমর ফারুক জানান, বিনোদন কেন্দ্র তিস্তা ব্যারাজে দর্শনার্থীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে কড়া পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *