গাজীপুর: খোলস পাল্টানো কতিপয় লোকের সক্রিয়তায় গঠিত “ সব সময় সরকার পার্টির লোক” নামের সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে বেসরকারী স্বাস্থ্যখাতে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন ওই দলের হয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে মিশে চালায় স্বাস্থ্যখাত। আলোচিত শাহেদের স্টাইলে ছবি তোলে হলুদ লোকেরা মিশে যায় সরকার দলের সঙ্গে। আর তখনি গঠিত হয় সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট চালায় স্বাস্থ্যখাত। এই কারণেই তেমন কোন ঝামেলায় পড়তে হয় না এদের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুরে আপডেট কাগজপত্র ছাড়া অধিকাংশ বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। অনেকের কাগজপত্রও নাই। তবুও কোন ঝামেলা হয় না। কারণ ক্ষমতার আশির্বাদ সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকায় অনেকটা নিরাপদে চলছে এই স্পর্শকাতর খাত। এই খাত পরিচালনাকারী সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব পাওয়ায় যায় তাদের সংগঠনের খোঁজখবর নিলে।
গাজীপুর জেলা মহানগর ও উপজেলায় গঠিত গাজীপুর প্রাইভেট হাসপাতাল বা ডায়গনষ্টিক বা ক্লিনিক মালিকদের সংগঠনে দেখা যায়, সরকার দলীয় লোকদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় লোকদের কঠিন সংমিশ্রন। এমন কমিটিও আছে যেখানে সভাপতি ও সম্পাদক দুই জনই বিএনপির। এক ইউনিটে পাওয়া গেলো সভাপতিকে সবাই জামায়াত হিসেবে জানত। গাজীপুর মহানগরেও গুরুত্ব পূর্ন দুটি পদের একটিতে বিএনপির লোক। আসল কথা হল, কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য বা অপরাধকে জিঁইয়ে রাখতে সকল দলের সমর্থন লাগে। তাই জনগনকে সেবাদানকারী বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা খাতটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত হচ্ছে। তাই এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসের দুই কর্মচারী এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। বেসরকারী হাসপাতাল ডায়গনষ্টিক ক্লিনিক দেখভাল করেন তারা। কোথাও কোন সমস্যা হলে তারা ফোন করেন। গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসের ওই দুই কর্মচারীর মধ্যে এক কর্মচারী আমাদের অনুসন্ধান টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে লেখালেখি বন্ধ করার জন্য ঈঙ্গিতও দিয়েছেন। একই ধরণের হুমকি আকারে ঈঙ্গিত আসছে বিভিন্ন সেক্টর থেকেও। এরপরও শত বাঁধা অতিক্রম করে এই ধারাবাহিক সিরিজ চলবে ইনশাল্লাহ। সিরিজের পরিসমাপ্তি সুন্দর ও সার্থক হয়ে জনগনের স্বাস্থ্যসেবাকে নিরাপদ করবে এই আশাবাদ সকলের।