রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: “ভাড়া বাকী ১৫শ টাকা বাকী বৃদ্ধের দোকান বিক্রি করে দিলেন স্কুল শিক্ষক” শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গাজীপুরের শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের আমতলী এলাকায় সেই অসহায় বৃদ্ধ আলী হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
গত বুধবার রাতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিন স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে বৃদ্ধের খোঁজ খবর নিতে তার বাড়ীতে যান। এসময় উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৭হাজার টাকা দিয়ে বৃদ্ধের দোকান উদ্ধার ও মালামাল ক্রয়ের জন্য ১০হাজার টাকা মোট ১৭হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে তিনি বৃদ্ধ আলী হোসেনের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাকে খাসজমি বন্দোবস্থ দেয়ার আশ্বাসও দেন।
স্থানীয়রা জানান, আমতলী এলাকায় এসআর সোয়েটার কারখানার সামনে ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে একটি টং দোকান স্থাপন করেছিলেন ৮০বছর বয়সী বৃদ্ধ আলী হোসেন। জমিটি ছিল স্থানীয় মুজাহিদুল ইসলাম মল্লিকের। মল্লিক ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। করোনার কারণে আলী হোসেনের কয়েকমাসের ভাড়া বকেয়া পড়ে। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এই শিক্ষক। তিনি ভাড়া আদায়ে বৃদ্ধের দোকান বিক্রি করে দেন। সব হারিয়ে বৃদ্ধ আলী হোসেন ফের ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হন। বিষয়টি স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা অবহিত হলে তারা বৃদ্ধ আলী হোসেনকে নিয়ে প্রতিবেদন করেন। পরে বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে উপজেলা প্রশাসনের।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিন জানান, অসহায় এই বৃদ্ধের পাশে না দাঁড়িয়ে একজন শিক্ষক বৃদ্ধের দোকান বিক্রি করে ভাড়া আদায় করে অমানবিকতার কাজ করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষকের পাওনা পরিশোধ করে বৃদ্ধের দোকান বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হবে।