গাজীপুর: আলোর নীচে অন্ধকার এটা প্রকৃতির নিয়ম। আলো যখন জ্বলে তখন আলো-আঁধারের খেলা হয়। এই খেলা হত না, যদি আলোর নীচে অন্ধকার না হত। আলো-আঁধারের এই খেলা দেখি আমরা সব সময়। আর সেই খেলাটি গাজীপুর জেলা বা মহানগর শহরেই। আমরা যেখানে বসে গাজীপুর জেলাকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করার জন্য নিয়মিত নীতিবাক্য প্রদান করছি, জেলা ও মহানগরকে পরিচালিক করছি, সেখানেই অনিয়ম। গাজীপুর শহরে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনষ্টিক সেন্টার, চক্ষু চিকিৎসালয়, ডেন্টাল চিকিৎসালয় এমনকি ঔষুধের দোকানও মনিটরিং করা হয় না রীতিমত। আলোতে সরকারী হাসপাতালে আর আঁধারে ক্লিনিকে চেম্বার করছেন ডাক্তার। আর যেখানে বসে চেম্বার করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, সেটাও দেখছেন না তারা।
গাজীপুর মহানগরে স্বাস্থসেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হালসন পর্যন্ত কাগজপত্র আপডেট আছে এমন প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া কঠিন। অনেক প্রতিষ্ঠান কাগজপত্র আছে বললেও চলতি অর্থবছরের নবায়ন নেই। গত বছরের নবায়ন দেখিয়েই বলছে কাগজপত্র ওকে। এই ধারণাটা একেবারেই নতুন। কারণ অর্থবছরের সকল নবায়ন শেষ হয় ৩০জুন। যা এখনো হয়নি। ৩০ জুনের পর স্পর্শকাতর এই খাতে কোন তদারকি হয়নি কেন, সেটা জানা সম্ভব হয়নি। আবার যে সকল প্রতিষ্ঠান ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে এখনো পাননি, তারাও ব্যবসা করছেন দেদারছে।
গাজীপুর মহনগর প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি কাজীম উদ্দিন কাজী জানালেন, আপডেটের কাজ চলছে। সকল শর্ত পূরণ করেই আবেদন করতে হয়। চলতি অর্থবছরে নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর লাইসেন্স দিলেই হয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর শহরে বর্তমানে চলমান অনেক নামী দামী বেসরকারী হাপসাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের নবায়ন নেই। এই সকল প্রতিষ্ঠানে যারা চিকিৎসা করেন তাদের অনেকেই লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রমের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। অনেকে বলছেন, এই কারণেই হয়ত ওই সকল প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করতে তেমনভাবে আগ্রহী থাকেন না।
সাধারণ মানুষ বলছেন, ফুটপাতে দোকান বসানো হয়। আবার জরিমানা করে তুলে দেয়া হয়। মিষ্টির দোকানে ময়লা দেখলেও জরিমানা হয়। সরকারী আইন ভঙ্গ করে মুখে মাস্ক না পড়লে জরিমানা হচ্ছে অথচ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট না করে বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দেদারছে ব্যবসা করছে। এটি কি করে হয়! এমন প্রশ্ন অনেকেরই।