গাজীপুর: গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবন্ধী এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম ফাহিম (৭)। সে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার শুরমুখ্যা গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি মো: রফিকুল ইসলাম ও নিহতের পরিবার জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নলজানী মধ্যপাড়া এলাকায় স্বপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকেন কামরুল ইসলাম। কামরুল ও তার স্ত্রী স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। তাদের ৭ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু সন্তান ফাহিম স্থানীয় চান্দনা কেজি ইন্সটিটিউট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। প্রতিদিনের মতো সোমবার শিশু সন্তান ফাহিমকে বাসায় রেখে কামরুল ও তার স্ত্রী গার্মেন্টসে যান। দুপুরে খাবারের বিরতির সময় এ দম্পতি বাসায় এসে ফাহিমকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে শিশুটির পরিবারের কাছে ফাহিমকে অপহরণ করার কথা জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে খুন করার হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান, অপহরণকারীদের হুমকির প্রেক্ষিতে সন্তানকে ফিরে পেতে অপহরণকারীদের মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা দেয় শিশুটির বাবা। একপর্যায়ে ছেলেকে না পেয়ে পুলিশকে জানায় তার বাবা।
এদিকে রাতভর বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও শিশু ফাহিমের সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরদিন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বাসার পাশে পরিত্যাক্ত একটি জমিতে ময়লার ঝোঁপে প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি শিশুটির লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে শীঘ্রই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।